উজিরপুর প্রতিনিধি ::: বরিশাল জেলার উজিরপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গভীর রাতে মিষ্টির দোকানে ডেকে নিয়ে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নে হস্তিশুন্ড গ্রামে ঈদগাহ মার্কেটের মিষ্টির দোকানদার শহিদুল ইসলাম বেপারী ও তার ভাই রফিকুল ইসলাম বেপারীর ছেলে শাকিল বেপারী (২৪) মিলে ওই এলাকার ক্ষুদ্র চায়ের দোকানদার মোঃ আদম আলী বেপারীর ছেলে হস্তিশুন্ড ফাজিল মাদ্রাসায় এইচ.এসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র আজিম হাসান বেপারীকে ১৩ জুন রাত ১০টার দিকে মিষ্টির দোকানে ডেকে নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এমনকি কাঁচের গ্লাস দিয়ে ওই ছাত্রকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ওই প্রভাবশালীদের ভয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে পারেনি মাদ্রাসার ছাত্র। বর্তমানে সে পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে বিছানায় কাতরাচ্ছে।
এ ব্যাপারে আহত ছাত্র আজিম হাসান বেপারী জানায়, প্রায় ১৫ দিন পূর্বে শহিদুল ইসলামের ছেলে ও তার পুত্রবধু বাড়ি থেকে টাকা পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়। এর সাথে আমি জড়িত সন্দেহে আমাকে ডেকে নিয়ে সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও হোটেলে ডেকে নিয়ে কাঁচের গ্লাস দিয়ে আমার মাথায় কয়েকটি আঘাত করে এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে জখম করেছে। এ সময় আমার অচেতনের মত অবস্থা হলে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে পল্লী চিকিৎসক আল আমিনের ফার্মেসীতে নিয়ে যায়। কতিপয় প্রভাবশালী নেতাদের কথায় আমার বাবা থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না। বিষয়টি এলাকায় মিমাংশা করবে বলে তারা আস্বাস দেন। তাই বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি।
আহত ছাত্রের মা রুশিয়া বেগম জানান, আমরা গরীব অসহায় হওয়ায় ওই প্রভাবশালীরা আমার অবুঝ সন্তানকে রাতে মিষ্টির দোকানে ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় আমার ছেলে। অভিযুক্ত সহিদুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি।
শাকিল জানায়- বেয়াদবী করার জন্য তাকে মারধর করা হয়েছে।
