বাবুগঞ্জে স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা পরিকল্পিত হত্যার দাবি নিহতের পরিবারের

শেয়ার করুনঃ

বাবুগঞ্জ(বরিশাল) প্রতিনিধি॥ বরিশালের বাবুগঞ্জের দেহেরগতি ইউনিয়নের রাকুদিয়া গ্রামের হানিফ হাওলাদারের পূত্র স্কুল ছাত্র হৃদয়(১৫) এর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেছে নিহতের পরিবার। ১৯ দিন আগে ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় নিজ ঘরের দরজার আড়ার সাথে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মুখ খুলতে শুরু করেছে নিহত হৃদয়ের পরিবার।

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঘটনার সাথে স্থানীয় প্রভাবশালী পরিবার জরিত থাকার দাবি করে হৃদয়ের বাবা হানিফ হাওরাদার বলেন, আমার ছেলে প্রেমের বলি হয়েছে। নিহতের ঘটনাটি ছিলো পূর্ব পরিকল্পিত। একই বাড়ির জুলফিকারের স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় জুলফিকারের ভাড়াটিয়াদের হাতে জীবন দিতে হয়েছে হৃদয়ের।

নিহত হৃদয়ের দাদি পেয়ারা বেগম বলেন, জুলফিকারের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কের জেরে একাধিকবার শালিস করেছে স্থানিয় যুবকরা। শালিসের নামে মারধর ও স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে শাসিয়ে দেয়। শালিসের পরও মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখায় জুলফিকার হৃদয়কে পিটাতে পিটাতে নদীতে ফালায় এবং একাধিকবার প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার নজিরও রয়েছে। হৃদয়ের মা নাজমা বেগম বলেন, ঘটনার দিন বিকালে একই বাড়ির কয়েকজন মারধর করে কান থেকে রক্তপাত ঘটায়। সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ না থাকায় আমি পাশের ঘরে অবস্থান করি। পরে হৃদয়ের বাবা ঘরে প্রবেশ করে গলায় রশি প্যাচানো অবস্থায় দেখেতে পেয়ে ডাকচিৎকার দেয়। হৃদয়কে উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক শেবাচিম হাসপাতেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে।

হত্যার হুকমদাতা জুলফিকার এখন বিভিন্ন ভাবে মামলায় না যাওয়ার জন্য হুমুকি ও জমি, নগদ টকার প্রলোভন দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। তবে হৃদয়ের মৃত্যুর পর জুলফিকার পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।

বাবুগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রহমান জানায়, ঘটনার দিন আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই ঘটনায় বরিশাল কোতোয়ালি থানায় একটি অপমৃতু মামলা রহয়েছে। আমারা এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাই নি।