প্রেমিককে ডাকলেন প্রেমিকা, তুলে নিয়ে গেল পাঁচ যুবক, এরপর লাশ

শেয়ার করুনঃ

অনলাইন ডেস্ক :: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসে এক কলেজ শিক্ষার্থী খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করেন নিহত কলেজশিক্ষার্থীর বাবা।

নিহত জসিম উদ্দিন (২২) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুরের আবুল কাশেমের ছেলে এবং কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় রওশন আক্তার নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার মেয়ে রেশমি আক্তার পিংকি মোবাইলে কল করে জসিমকে ডেকে এনেছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার রাতে উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নের জাহানারাবাদ গ্রামে এ যুবককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়। জসিমের সঙ্গে পিংকির ননদ পারভীন আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ননদ-ভাবির যোগসাজশে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

নিহতের পরিবার জানায়, জসিমকে কল করে বেগমগঞ্জের আমিন বাজারে আসতে বলে পিংকি। সেখান থেকে মানিক, জাবেদ, বাবুল ও রাহাতসহ পাঁচজন অস্ত্রের মুখে জসিমকে বেগমগঞ্জের জাহানারাবাদ গ্রামে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে আটকে রেখে জসিমের পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। পরিবার মুক্তিপণের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে জসিমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বলেন, খবর পেয়ে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে এবং রওশন আরা নামে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পিংকি ওই ছাত্রকে মোবাইলে ডেকে এনেছিল। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি আমরা।