ভোলায় কিশোরীকে গণধর্ষণ, আটক ৪

শেয়ার করুনঃ

ভোলা প্রতিনিধি :: ভোলার মনপুরা উপজেলায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে চার তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে মনপুরার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর খালা বাদী হয়ে মনপুরা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ঈদুল আজহার সময় ঢাকা থেকে ভোলার মনপুরা উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নে খালার বাড়িতে বেড়াতে যায় ভুক্তভোগী কিশোরী। এরপর থেকে সেখানেই বসবাস করছিল। গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে কিশোরী শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে বের হয়। সে সময় ওত পেতে থাকা ছয় তরুণ ভুক্তভোগীর মুখ চেপে ধরে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যায়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা প্রথমে কিশোরীকে নিয়ে যায় মনপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত চারতলা ভবনের দোতলায়। সেখানে নিয়ে তাকে তারা ধর্ষণ করে। শেষ রাতের দিকে কিশোরীর হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফের মোটরসাইকেলে তুলে উপজেলার আন্দিরপাড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ফের ধর্ষণসহ পাশবিক নির্যাতন চালায় তারা। পরে ভোরের দিকে ভুক্তভোগীকে সেখানে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে কিশোরীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।

পুলিশ খবর পেয়ে ১০ সেপ্টেম্বর রাতেই অভিযান চালিয়ে তিন জন এবং গতকাল মামলা দায়েরের পর একজনসহ মোট চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীর খালা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের চাপে পড়ে প্রথমে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়। পরে ঘটনাটি পুলিশ জানতে পারে। কিশোরীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল তথ্য বের হয়ে আসে। পরে কিশোরীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যায়। তার জবানবন্দির সূত্র ধরে পুলিশ চার জনকে গ্রেপ্তার করে।

মনপুরা থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘গত সোমবার কিশোরীকে তুলে নিয়ে দল বেধে ধর্ষণ করেছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তিন জন, শুক্রবার মামলার পর একজনসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আজ সকালে ওই কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনপুরা থানার পরিদর্শক মো. মামুন জানান, গ্রেপ্তার তরুণদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।