মঠবাড়িয়ায় ফুসকা খাওয়ানো কথা বলে দুই কলেজছাত্রীকে আটকিয়ে ধর্ষণ!

শেয়ার করুনঃ

মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মিঠাখালী গ্রামে ২ বন্ধুকে নিয়ে ফুসকা খেতে আসা বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা এলাকার ২ তরুণীকে আঃ সালাম ওরফে কানা সালামের ঘরে দরজা আটকিয়ে জিম্মি করে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। পুরো ঘটনায় ওই ২ বন্ধুর যোগসাজশ রয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ১৩ আগস্ট ঘটনার দিন ও সময় আগে থেকেই জানতো ঘটনাস্থলের কিছু দুর্বৃত্ত। ভিকটিমের কথিত বন্ধু শাহাদাতের যোগসাজশেই দুর্বৃত্তায়ন ঘটায় তারা।

জানা গেছে- ভিকটিম লাবনীকে প্রায়ই উত্যক্ত করত উত্তর ডৌয়াতলা গ্রামের মোঃ হালিমের পুত্র শাহাদাত। বিয়ের প্রস্তাবও দেয় কিন্তু ছেলের স্বভাব চরিত্র ভাল না থাকায় মেয়ের অভিভাবক সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে লম্পট শাহাদাত। পরে কৌশলে ফুসকা খাওয়ার কথা বলে বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা বাজার থেকে মঠবাড়িয়া উপজেলার পৌর শহরে নিয়ে আসে। ফুসকা না খেয়ে কৌশলে গেঞ্জি কেনার কথা বলে মজা করার জন্য পৌর শহরের ১ কি.মি. দূরে মিঠাখালী সরকারি পুকুর সংলগ্ন কানা সালামের ঘরে যায়। শাহাদাত ও সোহাগকে শেল্টার দেওয়া রক্ষকরা ভক্ষক হওয়ায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টিতে গ্রুপিং তৈরি হয় এবং পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ভিকটিমদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়।

ঘটনাস্থল ওই ঘরের মালিক আঃ সালাম ওরফে কানা সালামের স্ত্রী রহিমা বেগম জানান, দুপুর ১২ টার দিকে পুকুরে চাল ধুয়ে আনার সময় ২ মহিলা ও কিছু যুবকের গুডুরমুডুর দেখতে পাই। তবে বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার কোন চেষ্টা করতে কাউকে দেখা যায় নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভিকটিমদের একজন অভিভাবক জানান, ঘটনাস্হল পুকুর পাড়ের ওই ঘরের দরজা বন্ধ থাকলেও জানালা খোলা ছিল। দুর্বৃত্তরা ঘরের বাহিরে থেকে পর্যায়ক্রমে ঘরে প্রবেশ করে অত্যাচার চালায়। ভিকটিমরা জানালা দিয়ে বাহিরে অপেক্ষমান দুর্বৃত্তদের দেখতে পায়। লোক লজ্জায় ভিকটিমরা ঘরের মধ্যে ঘটনাটি সংঘটিত হওয়ার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে এড়িয়ে যায়।

এছাড়াও তিনি আরও জানান, দুটো মেয়েই বিবাহিত। তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ঘটনাটি যাতে না ছড়ায় প্রাথমিকভাবে সে চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হয়। এমনকি ঘটনার পর ওই বন্ধুদের নিয়ে হরিনপালা ইকোপার্কের দিকে শরীফ বাড়ি ব্রিজ (চুঙ্গার পোল) পর্যন্ত আসলেও স্হানীয় দুর্বৃত্তদের মধ্যে গ্রুপিং তৈরি হওয়ায় তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হয় এবং স্হানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, মঠবাড়িয়ায় ২ কলেজছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলাটি ওসি স্যার নিজেই তদন্ত করছেন। স্যারের এক নিকটাত্মীয় মারা যাওয়ার আজকের ছুটিতে আছেন।’