বরিশালে নববধূকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ, লোকলজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টা

শেয়ার করুনঃ

মেহেন্দিগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি :: বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাটে এক নববধূ (১৭) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। স্থানীয় আন্ধারমানিক ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই গৃহবধূকে রোববার গভীর রাতে বাসা থেকে পড়শি রাজিব ফকির নামে এক যুবক বন্ধু বাবু বেপারীর বাসায় ডেকে নেয়। সেখানে এই দুই বন্ধুসহ নাজমুল হোসেন নামের আরও একজন মিলে তাকে গণধর্ষণ করে। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই রাতে স্থানীয় ২ এক ওয়ার্ড মেম্বর বিষয়টি আপসরফার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হলে লোকলজ্জার ভয়ে কিশোরী গৃববধূ সোমবার সকালে নিজগৃহে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এই খবর জানাজানি হলে সন্ধ্যা নাগাদ পুলিশ বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- কিশোরীর তিন মাস পূর্বে এক যুবকের সাথে বিবাহ হলেও তিনি আন্ধারমানিক ইউনিয়নে বাবার বাসায় অবস্থান করছিলেন। স্থানীয় হালান আকনের ছেলে নাজমুল হোসেন, দুলাল বেপারীর ছেলে বাবু বেপারী এবং হাসান ফকিরের ছেলে রাজিব ফকির তাকে তাকে বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এমনকি বিয়ে পরেও একইভাবে হয়রানি করে।

কিশোরীর দুলা ভাই আবু বক্কর জানান, রোববার রাত একটার দিকে তার শ্যালিকাকে পড়শি দুলাল বেপারীর ছেলে বাবু ডেকে নেয়। সেখানে তাকে আটকে বাবুসহ রাজিব ও নাজমুল পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এই বিষয়টি স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর শাহ পরান ভুইয়া জানতে পেরে সেখানে উপস্থিত হন এবং অর্থের বিনিময়ে আপসরফার চেষ্টা চালান। সেখানে সমঝোতায় যেতে নারাজ থাকার বিষয়টি জানিয়ে গৃহবধূকে নিয়ে স্বজনেরা চলে আসে।

এই বিষয়টি এলাকায় কমবেশি জানাজানি হলে কিশোরী নববধূ সোমবার সকালে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে উদ্ধার করে স্বজনেরা তাকে পার্শ্ববর্তী হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সর্বশেষ রাত সোয়া সাতটার প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে- কাজিরহাট থানা পুলিশের পরিদর্শকের নেতৃত্বে একটি টিম হাসপাতালে অবস্থান করছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার সিকদার জানান, খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল ও পরিদর্শকের নেতৃত্বে অপর একটি টিম হিজলা উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কিশোরীর সজ্ঞাহীন থাকায় তার বয়ান নিতে সেখানে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অন্যদিকে এই গণধর্ষণে জড়িতদের বিরুদ্ধে একটি মামলার প্রস্তুতিসহ তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।’